একযুগ পর ক্লার্ক নিয়োগ করছে
পিএসসি, আবেদন কাল থেকে
রাজু চক্রবর্তী, কলকাতা: দীর্ঘ প্রায় একযুগ পর রাজ্যে আয়োজিত হতে চলেছে ক্লার্কশিপ পরীক্ষা। ২০০৭ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সর্বশেষ রাজ্য সরকারি দপ্তরে গ্রুপ-সি পদমর্যাদার কর্মী নিয়োগের এই পরীক্ষা নিয়েছিল। চলতি বছর ফের তা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যদিও এই পরীক্ষায় শূন্যপদের সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রস্তুতি সেরে রাখতে কাল, শুক্রবার থেকেই অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করে দেবে পিএসসি। www.pscwbapplication.com এই ওয়েবসাইটে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুক প্রার্থীরা। মাধ্যমিক যোগ্যতামানের এই লিখিত পরীক্ষার দিনক্ষণও ঠিক হয়নি। সূত্রের দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে। তারপরই দেশজুড়ে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে নয়া নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পিএসসি’কে নির্বাচন কমিশনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হত। সেই জটিলতা কাটাতেই তড়িঘড়ি এই ক্লার্কশিপ পরীক্ষার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি।
প্রথমে, দুই পর্বে লিখিত পরীক্ষা হবে। আগে মাল্টিপল চয়েস ভিত্তিক দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। যার মধ্যে ইংরেজি, পাটিগণিত এবং জেনারেল স্টাডিজ বিষয়ের জন্য বরাদ্দ নম্বর যথাক্রমে ৩০, ৩০ এবং ৪০। সফল প্রার্থীদের ডাকা হবে মূল দ্বিতীয় পর্বের বিস্তারধর্মী লিখিত পরীক্ষায়। ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় ৫০ থাকবে ইংরেজির জন্য। বাকি ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে মাতৃভাষা (বাংলা, হিন্দি, উর্দু, নেপালি, সাঁওতালি) কেন্দ্রিক। এই বাধা পেরলে সফল প্রার্থীদের ডাকা হবে টাইপ টেস্টের জন্য। যেখানে বাংলায় মিনিটে ১০টি শব্দ এবং ইংরেজিতে ২০টি শব্দ টাইপ করার দক্ষতা যাচাই করা হবে। দু’টি লিখিত পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর এবং টাইপ টেস্টের যোগ্যতামান মিলিয়ে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
পে-ব্যান্ড দুই স্কেলের অধীনে পড়বেন গ্রুপ-সি পদমর্যাদার এই পরীক্ষায় সফল প্রার্থীরা। যাঁদের ন্যূনতম এবং সর্বোচ্চ বেতনক্রম হবে ৫৪০০ থেকে ২৫২০০ পর্যন্ত। এর সঙ্গে যুক্ত হবে গ্রেড-পে, মহার্ঘ ভাতা, চিকিৎসা ভাতা এবং বাড়িভাড়া ভাতা। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে গ্রুপ-সি পদমর্যাদার কোনও কর্মী চাকরি পেলে প্রায় ২১ হাজার ৫১৬ টাকা বেতন পাবেন।
এই পরীক্ষায় আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। যদিও এসসি, এসটি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বাড়তি পাঁচ বছর এবং ওবিসিদের জন্য তিন বছরের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ প্রার্থীদের ফর্ম পূরণের জন্য পিএসসিতে ১১৫ টাকা করে জমা করতে হবে। যদিও এসসি, এসটি, ওবিসিদের কোনও ফি জমা দিতে হবে না। সূত্রের দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি দপ্তরের কাছ থেকে গ্রুপ-সি কর্মীর শূন্যপদের তালিকা চাওয়া হবে। সেগুলি বিশ্লেষণ করে নবান্নের তরফে চূড়ান্ত শূন্যপদের সংখ্যা নির্ধারিত হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি ৯৫৭ জন ফুড ইন্সপেক্টরের শূন্যপদের লিখিত পরীক্ষায় প্রায় ১২ লক্ষ প্রার্থী বসেছিলেন। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পাশ ক্লার্কশিপে দেড় থেকে দু’হাজার শূ্ন্যপদ তৈরি হলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ ছুঁতে পারে বলে মনে করছেন পিএসসি কর্তারা। এ প্রসঙ্গে পিএসসি’র চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দাশগুপ্ত বলেন, রাজ্যজুড়ে ২৭টি কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
পিএসসি, আবেদন কাল থেকে
রাজু চক্রবর্তী, কলকাতা: দীর্ঘ প্রায় একযুগ পর রাজ্যে আয়োজিত হতে চলেছে ক্লার্কশিপ পরীক্ষা। ২০০৭ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সর্বশেষ রাজ্য সরকারি দপ্তরে গ্রুপ-সি পদমর্যাদার কর্মী নিয়োগের এই পরীক্ষা নিয়েছিল। চলতি বছর ফের তা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যদিও এই পরীক্ষায় শূন্যপদের সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রস্তুতি সেরে রাখতে কাল, শুক্রবার থেকেই অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করে দেবে পিএসসি। www.pscwbapplication.com এই ওয়েবসাইটে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুক প্রার্থীরা। মাধ্যমিক যোগ্যতামানের এই লিখিত পরীক্ষার দিনক্ষণও ঠিক হয়নি। সূত্রের দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে। তারপরই দেশজুড়ে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে নয়া নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পিএসসি’কে নির্বাচন কমিশনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হত। সেই জটিলতা কাটাতেই তড়িঘড়ি এই ক্লার্কশিপ পরীক্ষার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি।
প্রথমে, দুই পর্বে লিখিত পরীক্ষা হবে। আগে মাল্টিপল চয়েস ভিত্তিক দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। যার মধ্যে ইংরেজি, পাটিগণিত এবং জেনারেল স্টাডিজ বিষয়ের জন্য বরাদ্দ নম্বর যথাক্রমে ৩০, ৩০ এবং ৪০। সফল প্রার্থীদের ডাকা হবে মূল দ্বিতীয় পর্বের বিস্তারধর্মী লিখিত পরীক্ষায়। ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় ৫০ থাকবে ইংরেজির জন্য। বাকি ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে মাতৃভাষা (বাংলা, হিন্দি, উর্দু, নেপালি, সাঁওতালি) কেন্দ্রিক। এই বাধা পেরলে সফল প্রার্থীদের ডাকা হবে টাইপ টেস্টের জন্য। যেখানে বাংলায় মিনিটে ১০টি শব্দ এবং ইংরেজিতে ২০টি শব্দ টাইপ করার দক্ষতা যাচাই করা হবে। দু’টি লিখিত পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর এবং টাইপ টেস্টের যোগ্যতামান মিলিয়ে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
পে-ব্যান্ড দুই স্কেলের অধীনে পড়বেন গ্রুপ-সি পদমর্যাদার এই পরীক্ষায় সফল প্রার্থীরা। যাঁদের ন্যূনতম এবং সর্বোচ্চ বেতনক্রম হবে ৫৪০০ থেকে ২৫২০০ পর্যন্ত। এর সঙ্গে যুক্ত হবে গ্রেড-পে, মহার্ঘ ভাতা, চিকিৎসা ভাতা এবং বাড়িভাড়া ভাতা। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে গ্রুপ-সি পদমর্যাদার কোনও কর্মী চাকরি পেলে প্রায় ২১ হাজার ৫১৬ টাকা বেতন পাবেন।
এই পরীক্ষায় আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। যদিও এসসি, এসটি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বাড়তি পাঁচ বছর এবং ওবিসিদের জন্য তিন বছরের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ প্রার্থীদের ফর্ম পূরণের জন্য পিএসসিতে ১১৫ টাকা করে জমা করতে হবে। যদিও এসসি, এসটি, ওবিসিদের কোনও ফি জমা দিতে হবে না। সূত্রের দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি দপ্তরের কাছ থেকে গ্রুপ-সি কর্মীর শূন্যপদের তালিকা চাওয়া হবে। সেগুলি বিশ্লেষণ করে নবান্নের তরফে চূড়ান্ত শূন্যপদের সংখ্যা নির্ধারিত হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি ৯৫৭ জন ফুড ইন্সপেক্টরের শূন্যপদের লিখিত পরীক্ষায় প্রায় ১২ লক্ষ প্রার্থী বসেছিলেন। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পাশ ক্লার্কশিপে দেড় থেকে দু’হাজার শূ্ন্যপদ তৈরি হলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ ছুঁতে পারে বলে মনে করছেন পিএসসি কর্তারা। এ প্রসঙ্গে পিএসসি’র চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দাশগুপ্ত বলেন, রাজ্যজুড়ে ২৭টি কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।